রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৯

keyword Thanks for trying Social Bookmarking Site | Get Free Backlinks | Boost SEO Ranking. We’re thrilled to have you on board.

শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০১৯

শাহজালাল বিমানবন্দরে পিস্তলসহ সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগ নেতা আটক

জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক। শুক্রবার বিকেলে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে করে তাঁর যশোর যাওয়ার কথা ছিল। তাঁর কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ৩৫টি গুলি জব্দ করা হয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে স্ক্যান মেশিনে তল্লাশির সময় মজিবুর রহমানের হাতব্যাগে একটি পিস্তল ও ৩৫টি গুলি পাওয়া যায়। এ সময় ঘোষণা ছাড়াই অস্ত্র বহনের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

সিভিল এভিয়েশন নিরাপত্তা বাহিনী অ্যাপ সেকের পরিচালক উইং কমান্ডার নূরে আলম সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিকেলে মজিবুর রহমানের যশোর যাওয়ার কথা ছিল। নিয়মানুযায়ী অস্ত্র থাকলে তার ঘোষণা দিতে হয়। কিন্তু তিনি কোনো ঘোষণাই দেননি।

উইং কমান্ডার নূরে আলম আরও জানান, মজিবুরের কাছে পাওয়া পিস্তলটি ব্রাজিলের তৈরি। এর বৈধ লাইসেন্স থাকলেও ঘোষণা না করার অপরাধে সেগুলো জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি এস এম মজিবুর রহমানকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

উড়োজাহাজে শৌচাগারের ফ্লাশ নষ্ট, তাই ফ্লাইট বাতিল

শৌচাগারের ফ্লাশ নষ্ট হওয়ায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাইগামী একটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইনসের এই ফ্লাইট আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা পর রাত সাড়ে সাতটায় অপেক্ষমাণ যাত্রীদের জানানো হয় ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার এ বি এম সারওয়ার-ই-জামান। তিনি আজ রাত ৯টায় প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার ফ্লাশটি ঠিক হলে ওই উড়োজাহাজেই যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হবে। আর ঠিক না হলে বিকল্প ব্যবস্থায় যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ওই ফ্লাইটে ১৮০জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে যাঁদের বাসাবাড়ি আশপাশে, তাঁরা সেখানে চলে গেছেন। আর যাঁদের বাসাবাড়ি দূরে, তাঁদের হোটেলে পৌঁছিয়ে দিয়েছে উড়োজাহাজ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে দিনভর অপেক্ষা এবং শেষে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও তাঁদের স্বজনেরা। দিনভর নানা উৎকণ্ঠায় দিন কাটে তাঁদের।

যাত্রীদের একজন মোহাম্মদ আলী। তিনি সাতকানিয়ার গ্রামের বাড়ি থেকে গতকাল ভোর পাঁচটায় বের হয়ে বিমানবন্দরে আসেন। দুবাই হয়ে সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। রাত সোয়া নয়টায় মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথমে কর্তৃপক্ষ আমাদের বলে উড়োজাহাজের শৌচাগারের ফ্লাশ নষ্ট, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এরপর বলা হয় প্রকৌশলী এখনো আসেনি, আরেকটু অপেক্ষা করুন। এভাবে কয়েক দফা নানা কথা বলে আমাদের অপেক্ষায় রাখা হয়। শেষে জানানো হয় ফ্লাইট বাতিল। অন্যদিকে দুপুরের খাবার দেওয়া হয় বিকেল পাঁচটায়। একদিকে উৎকণ্ঠা, অন্যদিকে খাবার খেতে বিলম্ব হওয়ায় এক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন।’
মোহাম্মদ আলী আজ রাতে বাড়ি সাতকানিয়ায় ফিরেছেন। তিনি জানান, কাল শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে তাঁদের বিমানবন্দরে আসতে বলা হয়েছে।

বর্তমান ফ্যাসিবাদ বিদায়ে বিপ্লব করতে হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে দেশে পুঁজিবাদ ফ্যাসিবাদে পরিণত হয়েছে। এটা বিদায় করতে হলে বিপ্লব করতে হবে। বিপ্লব করতে হলে সুশৃঙ্খল সংগঠনের প্রয়োজন হয়। আর সংগঠনের জন্য জ্ঞানের প্রয়োজন।

আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদ্‌যাপন জাতীয় কমিটির এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এ কথা বলেন। ‘উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ: জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও বামপন্থীদের ভূমিকা’ শিরোনামে আলোচনা সভাটির আয়োজন করা হয়।অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পূর্ববঙ্গ স্বাধীন হবে, সেটি স্পষ্ট হয়েছিল ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে। তখন প্রশ্ন উঠেছিল, কারা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে? সমাজের সব শ্রেণি এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল। কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র সবাই এই আন্দোলনে নেমেছিল। ছাত্ররাই এই আন্দোলনের চালিকাশক্তি ছিল। তিনি বলেন, ‘উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে দাবি উঠেছিল, ২১ ফেব্রুয়ারি ছুটির দিন ঘোষণা করতে হবে। পরে ১৯৭০ সাল থেকে মধ্যরাতে ২১ ফেব্রুয়ারি পালন শুরু হয়ে গেল। তখন থেকে বোঝা গেল আমরা পুঁজিবাদী ধারায় চলে গেলাম। থার্টি ফার্স্ট নাইটের মতো ২১ ফেব্রুয়ারিও অনুকরণ হতে থাকল। যার ফলে নিরাপত্তার নামে শহীদ মিনারে জনগণের যাওয়া নিয়ন্ত্রিত হলো।’

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, আইয়ুব খানের প্রধান অস্ত্র ছিল উন্নয়নের দশক। এই উন্নয়নের দশক দিয়ে জনগণের কষ্ট, দুর্দশা সব আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, এ বিষয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের “কারাগারের রোজনামচায়” বলা আছে, “উন্নয়নের দশক চলছে, কিন্তু মানুষের নিপীড়ন, কষ্ট এসবের কোনো উল্লেখ নেই।” এ সময় আনু মুহাম্মদ বলেন, মনে হয় যেন ২০১৭-১৮ সালে লেখা কথা।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আলোচনা করাটা এখনো প্রাসঙ্গিক। কারণ এখনো মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের অনেক কিছু থেকে এখনো শেখার আছে। তিনি বলেন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ছয় দফার ভিত্তিতে হয়নি, ১১ দফার ভিত্তিতে হয়েছিল। বর্তমান তরুণ প্রজন্মের যে পরিমাণে ইতিহাস চর্চা করা উচিত, সে পরিমাণে করে না। সবার লেখা, মত পড়া উচিত। তারপর স্বাধীনভাবে বিশ্লেষণ করে মন্তব্য করা উচিত।

বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, আগামী দিনে গণ–অভ্যুত্থানের মূল শক্তি কে? একটি পর্যায়ে গিয়ে পুঁজিবাদ একটি সংকটে পড়বে, তখন তাদের আঘাত করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত চারটি সংকটে পড়েছে। ১৯৭৫ সালের সংকটে শেখ মুজিব ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়। এরপর ১৯৮১ সালে দ্বিতীয় সংকটে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়। তৃতীয় সংকট আসে ২০০৬ সালে। পরবর্তীতে যেটির সমাধান হয় এক-এগারোর মধ্য দিয়ে। আর ২০১৪ সালে আসে চতুর্থ সংকট, যা এখনো চলছে। সে জন্য বামপন্থীদের একতাবদ্ধ হতে হবে যেন পঞ্চম, ষষ্ঠ সংকট না আসে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাসদের (মার্ক্সবাদী) মবিনুল হায়দার চৌধুরী, জাতীয় গণফ্রন্টের সভাপতি টিপু বিশ্বাস প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা আবদুল্লাহ আল ক্বাফী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

‘প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ছাড়া বাড়ি ফিরব না’

নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা বলছেন, বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তাঁদের এমপিওভুক্তির দাবি মানা হয়নি। তাই এবার প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ও সুনির্দিষ্টভাবে লিখিত আকারে এমপিওভুক্তির ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তাঁরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেই অবস্থান করবেন।

আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে চলছে এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষক-কর্মচারীরা গত বুধবার থেকে প্রেসক্লাবের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।এই অবস্থান কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ বিনয় ভূষণ রায় দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমপিওভুক্তির কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ আমরা চাই। কারণ, এর আগে আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা পরে বাস্তবায়ন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের যদি বাড়ি ফিরে যেতে বলেন, সে নির্দেশও আমরা মানব। তবে আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী আমাদের খালি হাতে ফেরাবেন না।’

নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা বলছেন, সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। সুনির্দিষ্ট ও যৌক্তিকভাবে লিখিত কোনো নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত তাঁদের অবস্থান দিন-রাত সমানতালে চলবে। পিরোজপুরের নাজিরপুর থেকে এসেছেন রাজলক্ষ্মী কলেজের শিক্ষক সিদ্ধার্থ মজুমদার। তাঁদের প্রতিষ্ঠান থেকে চারজন শিক্ষক ঢাকায় এসে অবস্থানে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, কোনো আশ্বাস আর নয়। আমরা কোনো আশ্বাস আর বিশ্বাস করি না। এবার এমপিওভুক্তির ঘোষণা লিখিতভাবে এবং সুনির্দিষ্ট আমাদের কাছে আসতে হবে।’

দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে দেখা যায়, প্রেসক্লাবের কদম ফোয়ারা থেকে মূল গেট পর্যন্ত অবস্থান করছেন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। সড়কের ওপর পলিথিন ও কাগজ বিছিয়ে কেউ বসে, কেউবা শুয়ে আছেন। ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, শেখ হাসিনার বাংলায়, উন্নয়নের বাংলায়, শিক্ষক কেন রাস্তায়’-এমন নানা স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

অনেকের সঙ্গে জামা-কাপড় ভর্তি ব্যাগ আছে। তাঁরা জানায়, ঢাকায় যাদের আত্মীয়-স্বজন আছেন, তাঁরা সন্ধ্যার পর ফিরে যাচ্ছেন। আর ঢাকায় স্বজনহীন শিক্ষক-কর্মচারীরা রাতে প্রেসক্লাবের সামনের সড়কেই

ঐক্যফ্রন্ট থেকে অনেকেই শপথ নেবেন: সুলতান মনসুর

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত হয়ে সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়া সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচন করে জিতে আসা আরও অনেকেই শপথ নেবেন বলে তিনি জানেন।

আজ শুক্রবার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিতদের অনেকে শপথ নেবেন। এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে সুলতান মনসুর বলেন, ‘কে কে শপথ নেবেন, তা বলতে পারব না, তবে নেবেন এটা আমি জানি। অপেক্ষা করেন, দেখবেন। এঁদের মধ্য থেকে নেবেন। ৯০ দিনের মধ্যেই নেবেন।’

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে মোট আটজন নির্বাচিত হন। এর মধ্যে বিএনপি থেকে ছয়জন আর গণফোরাম থেকে দুজন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুলতান মনসুর ধানের শীষ প্রতীকে মৌলভীবাজার-২ আসনে নির্বাচিত হন।  ৭ মার্চ তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন। সেদিন বিকেলেই সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন। এখন তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য। নির্বাচনের পর থেকে তিনি ঐক্যফ্রন্টের কোনো কার্যক্রমে অংশ নেননি।

সুলতান মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনে যিনি প্রার্থী হন তাঁর যোগ্যতা আছে বলেই প্রার্থী হন। যেহেতু সংসদ নির্বাচন করেছেন, শপথের জন্যই এবং সংসদে যাওয়ার জন্যই নির্বাচন করেছেন।

এবারের নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে আটজন নির্বাচিত হন। তাঁদের মধ্যে ছয়জন বিএনপির এবং দুজন গণফোরামের। সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খানও শপথ নিতে আগ্রহী। ৭ মার্চ তাঁর ও শপথ নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি সেদিন শপথ নেননি। শপথ নেওয়ার ব্যাপারে মোকাব্বির খান আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামীকাল শনিবার দলের প্রেসিডিয়াম মেম্বারদের বৈঠক হবে। সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। আশা করছি বিষয়টির একটি সুরাহা হবে।’
বিএনপি শপথ নেওয়ার ব্যাপারে বিরোধিতা করে আসছে।

মায়ের পছন্দেই বিয়ে করেছেন মোস্তাফিজ

আগেই জানা গিয়েছিল আজ বিয়ে করবেন মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ দলের এ পেসার আজ বিকেলে সেটির আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেনমোস্তাফিজুর রহমান আজ বিয়ে করবেন, সেটি জানা হয়েছে আগেই। আজ শুক্রবার বেলা তিনটায় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারলেন বাঁহাতি পেসার। কনে সামিয়া পারভীন শিমু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। মেয়ের বাবা রওনাকুল ইসলাম সম্পর্কে মোস্তাফিজের মেজ মামা।
এমনিতে কথা বলেন কম। বিয়ে নিয়েও মোস্তাফিজের মুখে তালা। উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে যা কথা বলার তাঁর বড় ভাই মাহফুজুর রহমানই বললেন। তিনি মোস্তাফিজ-শিমু দম্পতির জন্য সবার কাছে দোয়া চাইলেন। মাহফুজই জানালেন, মোস্তাফিজের স্ত্রী শিমু তাঁদের মেজো মামা রওনাকুলের তৃতীয় মেয়ে। একেবারে ছোটখাটো আয়োজনেই বিয়েটা হয়েছে। কাছের কজন বন্ধু, তাঁদের পরিবারের সদস্য আর মামার বাড়ির আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। আপাতত শুধু আকদ হয়েছে, বিয়ের আসল অনুষ্ঠানটা হবে বিশ্বকাপের পর।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেল, বিয়ের ক্ষেত্রে মোস্তাফিজ পরিবারের পছন্দকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। শিমুকে পছন্দ করেছেন আসলে মোস্তাফিজের মা মাহমুদা খাতুন। এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষায় ‘এ প্লাস’ পাওয়া শিমু এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছেন।